বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে আজ বুধবার ঈদের দিন বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এতে আরো অংশ নেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব হাজী মুজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুর রহিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহানগর পূর্বের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
দুপুর সাড়ে ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বৃষ্টির মধ্যে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ ও জনগণ আজ বাকশালী কারাগারে বন্দী। একদলীয় শাসনের চিরস্থায়ীত্ব দেওয়ার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করা হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘস্থায়ী করতেই গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বররের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই সমাপ্ত করা হয়েছে। সর্বকালের সেরা জাল-জালিয়াতির এই নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্যই আপোষহীন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
রিজভী বলেন, আজ ঈদের দিন, উৎসবের দিন অথচ এই ঈদের প্রাককালে জনগণের প্রত্যাশা ছিল অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করে রাখা দেশনেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু সরকার দেশনেত্রীর মুক্তি নিয়ে এক সর্বনাশা খেলায় মেতেছে। দেশকে চিরদিনের মতো আওয়ামী খাঁচায় বন্দী করে রাখার জন্য গণতন্ত্রেকে ধ্বংশস্তুপে পরিণত করার চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে বেগম জিয়া বন্দী শালায় রাখা হয়েছে।
রিজভী আহমেদ আরও বলেন, এই বন্দীশালা ভেঙে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে হবে। দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে সরকারের মাস্টারপ্লানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সকলকে। দেশের স্বাধীনতার সর্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই দেশনেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততোদিন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্রমানয়ে দূর্বল থাকবে। লুটেরাদের আধিপত্য থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্রের প্রতিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যই ঝড়-বৃষ্টি-প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করে সকলের রাজপথে উপস্থিতি অপরিহার্য। সাধারণ মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সরকারের পতন ঘটিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে। সুতরাং গুম-খুন-ক্রসফায়ার-অপরন-ভয় ও সঙ্কার বর্তমান এই দুঃসময় অতিক্রম করতে হবে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথ হবে আমাদের একমাত্র ঠিকানা।